চাকরির পাশাপাশি পড়াশুনা বা পড়াশোনার সঙ্গে চাকরি ; দুই নৌকার এই বেড়াজালে আজকাল অনেকেই আবদ্ধ হতে অভস্ত্য l জানতে চাই সময়ের সমন্বয় করে সুকৌশলে দুই দিক সমান তালে কিভাবে সামলে চলা যেতে পারে?
উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার নিমিত্তেই আজকাল অনেকেই এই বেড়াজালের দিকে ঝুকছেন, আসলে ঠিক ঝুকতে হচ্ছে l জীবনে উন্নতির চরম শিখরে পৌছাতে হলে তো একটু আধটু কাঠ খোট্টা পোহাতেই হয় l একটা কথা মনে রাখা জরুরি, যেহেতু দুই পা দুই নৌকায় তাই কখনোই ভুল করে তৃতীয় নৌকার ধারেকাছেও যাবেন না, এমন কি চেষ্টা করবেন অন্য নৌকাতে পা তুলে সেখান থেকে ভালো কিছু আহরণের, সেটা বরং সাময়িক বর্জন করে পরেরবারের জন্যই তুলে রাখুন l এজন্য চারপাশের রঙিন পরিবেশ থেকে প্রথমেই নিজেকে বিরত রাখতে হবে। নিজের মনকে শক্ত ও সাধনা না করলে চারপাশের রঙিন পরিবেশের হাতছানি থেকে নিজেকে বিরত রাখা প্রায় অসম্ভব। নিজের কাজ, নিজের লক্ষ্যের প্রতি একনিষ্ঠতা না থাকলে ডুবে যাবেনই। তাই এগিয়ে যান চাকরি ও লেখাপড়াকে নিয়েই, আর কিছু থেকে আপাতত নিজেকে বঞ্চিত রাখুন। মনে রাখবেন কিছু পেতে গেলে কিছু ছাড়তে হয় l তবে হ্যা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন l অফিস শেষে সহকর্মীদের সঙ্গে বা পরিবারের সকলের সাথে কোনো জায়গায় যাওয়া হল না বা কারো সঙ্গে দেখা করতে পারলাম না- এই আফসোসে হতাশ হয়ে গেলে সাফল্যের নৌকোও ডুবে যাবে। সপ্তাহের বড়জোর ১ কিংবা ২ দিন আফসোস মেযতটা পারুন নিজেকে দূরে রাখুন এসব থেকে। কিন্তু এই জটিলতার সময় কিন্তু সবসময় এসব করলে চলবে না l বরং সময়ের রুটিন থাকাটা ভীষণ জরুরি। পড়ার সময় যেটা পড়ছেন সেটা বুঝে পড়ুন। শুধু চোখ বুলিয়ে বই রেখে দিলে ভালো রেজাল্ট অধরাই থেকে যাবে। এমনকি ফেল টেল করে ক্যারিয়ার এবং সময় উভয়েরই বারোটা বাজিয়ে দিতে পারেন l পড়াশোনার জন্য অফিস-বাড়ি যাতায়াতের মাঝের সময়টাকেও কাজে লাগান। কেননা বাড়ি-অফিস আসা যাওয়ার সময়টাতে ২/৩ ঘণ্টা বেরিয়েই যায়। বাসে, গাড়িতে বইয়ের পাতায় বা নোটসের খাতায় চোখ রাখতেই পারেন। কিংবা স্মার্টফোন বা ট্যাবে জটিল টপিকগুলোর নোট রেখে দিতে পারেন। চলতি পথে সেগুলোয় চোখ রাখলে পরবর্তীতে মুখস্থ বা বোঝা আরও সহজ হবে। অফিসে নিশ্চয়ই টানা কাজ করেন না। কেননা কাজের ফাঁকে মিনিট দশেকের ব্রেক তো নিতেই হয়। ওই সময়টাতেও একটু পড়ে নিন । এভাবে পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হয় সাফল্যের দিকে। আসলে এ ক্ষেত্রে ইচ্ছাশক্তি প্রবল থাকতে হয়, আত্ববিশ্বাস থাকতে হয় l আমি অনেক নারীকে দেখেছি যারা কিনা সংসার, চাকরি, পড়াশুনা সবই সামলাচ্ছেন সমান তালে কথাও কোনো ত্রুটি না রেখে l তাদের একাগ্রতা ও নিষ্ঠাই এক্ষেত্রে তাদের সহায়ক l ভালো কিছু করার অদম্য চেষ্টাই মানুষকে উন্নত করে তোলে l