স্কুল-কলেজের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নে ‘পত্র লিখন’ রাখা হয়েছে। ব্যক্তিগত, দাপ্তরিকসহ নানা কাজে পত্র বা চিঠি লেখার দরকার হয়। চিঠি লেখার কিছু টেকনিক আছে। ভালো নম্বর তুলতে হলে কায়দা-কানুন মেনে গুছিয়ে লিখতে হবে। আরো জানাচ্ছেন মো. আব্দুস সাত্তার
* কোন প্রসঙ্গে কাকে উদ্দেশ্য করে লিখছেন, তার ওপর চিঠির কাঠামো নির্ভর করে। ব্যক্তিগত আর প্রাতিষ্ঠানিক/ব্যবসায়িক চিঠির মধ্যে তফাত আছে।
তাই এসব ক্ষেত্রে ভাষাও ভিন্ন ভিন্ন হবে।
* কোনো বিষয়ে অবহিত করতেই চিঠি লেখা হয়। তাই এর বক্তব্য যেন অস্পষ্ট না হয়। চিঠিতে কাটাকাটি না করে স্পষ্ট অক্ষরে গুছিয়ে বক্তব্য ধারাবাহিকভাবে লিখতে হবে।
* ভাষা ব্যবহারে খেয়াল রাখতে হবে যেন এমন কোনো বাক্য ব্যবহার না হয়, যা একাধিক বা ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।
* পরীক্ষার উত্তরপত্রে নির্ভুল বানান, উপযুক্ত শব্দ ও চিঠি লেখার কাঠামোর ওপর নির্ভর করে শিক্ষার্থী কত নম্বর পাবে।
* ব্যক্তিগত চিঠিতে নিজের অভিজ্ঞতা, অনুভূতি, ব্যক্তিত্বের ছাপ থাকতে হবে।
* বই থেকে চিঠির নমুনা দেখে হুবহু মুখস্থ না করে নিজের মতো করে লিখতে হবে।
* চিঠির মূলত দুটি অংশ—শিরোনাম, পত্রগর্ভ।
* চিঠির খামের ওপর বাঁ দিকে প্রেরকের ঠিকানা ও ডানদিকে প্রাপকের ঠিকানা লিখতে হয়।
* পত্রগর্ভ হচ্ছে চিঠির ভেতরের অংশ।
* ব্যক্তিগত চিঠির কাঠামোতে ছয়টি অংশ থাকে—
১. মঙ্গলসূচক শব্দ
২. স্থান ও তারিখ
৩. সম্ব্বোধন
৪. মূল বক্তব্য
৫. পত্র লেখকের নাম/স্বাক্ষর
৬. শিরোনাম
এর মধ্যে ১-৫ ক্রম হচ্ছে পত্রগর্ভ।